ডিমকে বলা হয়, ‘পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন’। অর্থাত্ পুষ্টির শক্তির ঘর। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। এখানে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের অনেক উপকারে আসে। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী।
আমরা সবাই কম বেশি ডিম পছন্দ করি। কেউ হাঁসের ডিম পছন্দ করি। কেউ বা আবার বেছেনি মুরগির ডিম। ডিমের একটা বিষয়ে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। যারা মুরগির ডিম খান, তারা প্রায়ই বুঝতে পারেন না কোনটা খাবেন- বাদামি নাকি সাদাটা? এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাদামি ও সাদা ডিমের পার্থক্যের কথা।
সাদা না বাদামি- কোন ডিমে পুষ্টি বেশি, সহজে জেনে নিন :-
►বাদামি নাকি সাদা?
অন্যান্য খাবারের হিসাব যদি করেন, তবে সাদার চেয়ে বাদামিটাই বেশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন- সাদা আটার চেয়ে বাদামি আটা বেশি পুষ্টিকর। সাদা চালের চেয়ে বাদামি চালের ভাত বেশি স্বাস্থ্যকর। সেই হিসাবে বাদামি ডিম কেন বেশি ভালো হবে না? এটা নিয়ে আরো প্রশ্ন রয়েছে।
বাদামি ডিমে কি ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ভয় কম থাকে? এদের স্বাদ কি সাদার চেয়ে বেশি? এটাই কি বেশি প্রাকৃতিক? আসলে কোনটা ভালো মানের ডিম তা জানতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হবে। এখানে আরো কিছু তথ্য জেনে নিন। এতে করে বাদামি ও সাদা ডিমের মধ্যে পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
►ডিমের কুসুম
বাদামি ডিমের কুসুমের রং একটু বেশি গাঢ়। কারণ বাদামি ডিম যেসব মুরগি পাড়ে, তাদের বেশি পরিমাণ শস্য খাওয়ানো হয়।
►দাম
বাদামি ডিমগুলো সাদা ডিমের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি দামের হয়ে থাকে। বাদামি ডিম যে মুরগি পাড়ে তাদের আকার অনেক বড়। এদের খাবারের পেছনেও খরচ বেশি। তাই এই ডিমের দাম বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু সাদা ডিম যেসব মুরগি পাড়ে, তাদের খাবারের পেছনে অপেক্ষাকৃত কম খরচ হয়।
►সরবরাহ
বাজারে সাদা ডিমের সরবরাহ একটু বেশিই দেখবেন। আবার বাদামিটাও বেশি থাকতে পারে। কারণ সাদা পালকের মুরগি অনেক বেশি মেলে। আবার এরা ডিমও পাড়ে বেশি।
►পুষ্টিগুণ
গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামি ডিমের পুষ্টিগুণ সাদা ডিমের চেয়ে বেশি। এতে ওমেগা-ফ্যাটি এসিড বেশি পরিমাণ থাকে।
►স্বাদ
বাদামি ও সাদা ডিমের স্বাদ ভিন্ন। আসলে মুরগিকে যে খাবার দেওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করবে ডিমের পুষ্টিগুণ কেমন হবে।